ব্যবহৃত বাইক কেনার আগে যে-বিষয়গুলি পরীক্ষা করতে হবে
যদি আপনি নিজের জন্য একটি বাইক নেওয়ার কথা ভাবছেন, কিন্তু এটির জন্য প্রচুর খরচ করতে চান না, তাহলে একটি ব্যবহৃত বাইক কেনা ভাল বিকল্প হতে পারে। আগে মনস্থির করুন এবং আপনি কিনতে চান এমন একটি বাইকে কী-কী দেখে নিতে হবে তা জেনে নিন। নিজের জন্য এমন একটি বাইক নিন যাতে চড়ে অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে মাইলের পর মাইল পাড়ি দিতে পারবেন।
কী পরীক্ষা করবেন, কোথা থেকে শুরু করবেন, তা নিয়ে বিভ্রান্ত? চিন্তা করবেন না, আমরা আপনাকে সাহায্য করব।
একটি ব্যবহৃত বাইক কেনার আগে যে-বিষয়গুলি দেখে নিতে হবে
আপনি বাইকে চড়ে যে-ধরনের ঘোরার পরিকল্পনা করছেন তার জন্য উপযুক্ত বাইকগুলি দেখুন - আপনি কীভাবে এবং কোন উদ্দেশ্যে বাইকটি ব্যবহার করবেন তা নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন এবং তারপর সেই অনুযায়ী বাইক খুঁজুন।
গবেষণা করা আবশ্যক - অনলাইনে যান, বাইক সম্বন্ধে আপনার যা-যা জানা দরকার, বিশেষত আপনি যে-ধরনের বাইক কিনতে চান, তা সম্পর্কে জানার জন্য বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলুন।
বাইকটি পরীক্ষা করে দেখুন - পেন্ট, স্ক্র্যাচ, কোনও ফ্লুইড লিকেজ, টায়ার অথবা যে-কোনও ক্ষয়-ক্ষতি ভালভাবে পরীক্ষা করুন। বাইকের বাইরের বডি পরীক্ষা করুন। কোনও ডেন্ট আছে কিনা দেখুন। স্ক্র্যাচ থাকলেও সমস্যা নেই, যদি না সেগুলি খুব বেশি গভীর হয়।
ব্রেক - বেশিরভাগ ব্যবহৃত বাইকের ড্রাম ব্রেক থাকে। সুতরাং, ব্রেকগুলি ভালভাবে পরীক্ষা করুন এবং আপনি সেগুলি পরিবর্তন করতে চান নাকি রাখতে চান সে-বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন ৷ এমনকি, সার্ভিসও করিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
সার্ভিসিং রেকর্ড - উল্লিখিত বাইকটি কতবার সার্ভিসিংয়ের জন্য গিয়েছে এবং কী-কী উদ্দেশ্যে গিয়েছে তা মালিকের সাথে কথা বলে পরীক্ষা করুন।
কোনও ত্রুটি আছে কিনা দেখার জন্য বাইকটির ভিআইএন (VIN) নম্বরটি স্ক্যান করুন - ভেহিকল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর হল একটি অনন্য সিরিয়াল নম্বর যা একটি যানবাহনকে আইনত শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। বেশিরভাগ বাইকে, আপনি হেডলাইটের ঠিক পিছনে ফ্রেমটির স্টিয়ারিং নেক সেকশনে ভিআইএন নম্বর স্ট্যাম্প করা আছে দেখতে পাবেন। অফিসিয়াল টাইটেলে যে-নম্বর আছে, তার সঙ্গে এই নম্বরটি পরীক্ষা করে নিশ্চিত করুন দু’টি মিলছে কিনা।
লাইট - হেডলাইট বালব, ইন্ডিকেটর এবং টেল লাইটগুলি সচল থাকা এবং যথেষ্ট উজ্জ্বল হওয়া উচিত। যদি তা না হয়, বালবগুলি পাল্টে নিন।
কাগজপত্র পরীক্ষা করুন - আরসি বুক, বাইক ইন্স্যুরেন্স, বাইকের ইন্স্যুরেন্সের বৈধতা, পলিউশন সার্টিফিকেট, আসল ইনভয়েস, এক্সটেন্ডেড ওয়ার্যান্টি (যদি থাকে)।
টেস্ট ড্রাইভ (Test drive) - স্পিড, মাইলেজ এবং আপনি এর পারফরম্যান্সে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য একটি রাইড নিন।
বিশদে একবার ইন্সপেকশনের জন্য একজন স্থানীয় মেকানিকের সাথে কথা বলুন - এমনকি যদি আপনি একটি প্রাইভেট পার্টির কাছ থেকে আপনার সেকেন্ড-হ্যান্ড বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েও থাকেন, তবুও আপনার যে-কোনও ধরনের চুক্তি করার আগে এটিকে থার্ড পার্টির দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনি একটি ব্যবহৃত বাইক নেওয়ার মনস্থির করলে, যদি আপনি নিজে যান্ত্রিক বিষয়ে ওয়াকিবহাল না হন, তাহলে এটি পরীক্ষা করার জন্য আপনার স্থানীয় বাইকের দোকানে নিয়ে যেতে ভুলবেন না। তা হয়ে যাওয়ার পরে, সময় আসে পেপারওয়ার্ক সম্পূর্ণ করার, যা প্রধানত হল আপনার নামে মালিকানা এবং ইন্স্যুরেন্স ট্রান্সফার করা।
কীভাবে বাইকের মালিকানা ট্রান্সফার করা যায়?
মালিকানা ট্রান্সফার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এবং আপনাকে এটি এভাবে করতে হবে:
ধাপ 1 (Step 1) - আপনাকে সেই একই আরটিও-তে বাইকের মালিকানা ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করতে হবে যেখানে বাইকের মালিক বাইকটি প্রাথমিকভাবে রেজিস্টার করেছিলেন।
ধাপ 2 (Step 2) - আরসি, ইন্স্যুরেন্স, ধোঁয়া নির্গমন পরীক্ষা, ট্যাক্স পেমেন্টের রসিদ, তিনটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, বিক্রেতার ঠিকানার প্রমাণ ইত্যাদির মতো আসল নথিপত্র সহ ডায়রেক্টরেট অফ ট্রান্সপোর্ট অফিসে ফর্ম 29 এবং ফর্ম 30 জমা দিন।
ধাপ 3 (Step 3) - রেজিস্টারিং কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমস্ত ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হওয়ার পরে, 14 দিনের মধ্যে বাইকের ইন্স্যুরেন্স সহ মালিকানা আপনার কাছে ট্রান্সফার করা হবে।
খুব সহজ, তাই না? এবং এক্ষেত্রে যে-নথিপত্রগুলি আপনার প্রয়োজন তা হল:
- ফর্ম 29 যা বিক্রেতার স্বাক্ষর সহ পূরণ করা হয়েছে: 2 কপি।
- উভয় পক্ষকে চ্যাসিস প্রিন্ট সহ ফর্ম 30 স্বাক্ষর করতে হবে: 1 কপি
- যদি বাইকটি অন্য অঞ্চল বা আরটিও থেকে আনা হয় তাহলে তাকে অবশ্যই একটি এনওসি দিতে হবে।
- বিক্রেতা যদি বাইকটি লোনে কিনে থাকেন, তাহলে অবশ্যই ব্যাঙ্কারের একটি এনওসি দিতে হবে।
- আসল আরসি
- ইন্স্যুরেন্স কপি
- ধোঁয়া নির্গমন পরীক্ষা
- ট্যাক্স পেমেন্টের রসিদ
- বিক্রেতার ঠিকানার প্রমাণ
- তিনটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
সেন্ট্রাল মোটর ভেহিক্যালস রুল, 1989-এর রুল 81 অনুসারে, উপরের এই নথিপত্রগুলি রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি রেজিস্ট্রেশন ফি সহ জমা দিতে হবে।
কীভাবে বাইকের ইন্স্যুরেন্স ট্রান্সফার করা যায়?
সংশ্লিষ্ট বাইকের ইন্স্যুরেন্স ট্রান্সফার করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বাইকের মালিকানা ট্রান্সফার করার সময় আপনি সমস্ত প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করেছেন তা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে বাইক ইন্স্যুরেন্স ট্রান্সফার করার পদ্ধতিটি আরও সহজ হয়ে যাবে।
বাইকের ইন্স্যুরেন্স ট্রান্সফার করতে হলে আপনাকে যা-যা করতে হবে তা হল:
- বাইকের মালিকানা ট্রান্সফারের তারিখ থেকে 15 দিনের মধ্যে মালিককে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কাছে ইন্স্যুরেন্স ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করতে হবে।
- রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, মালিকানা ট্রান্সফারের তারিখ, মূল ইন্স্যুরেন্স পলিসির বিশদ, গাড়ির বিশদ তথ্য, ডিলারের নাম এবং পেমেন্ট-করা প্রিমিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন।
- মালিকের ব্যক্তিগত তথ্যের সাথে ক্রেতাকে ইন্স্যুরেন্স ট্রান্সফারের রেকর্ডের জন্য তার ব্যক্তিগত আইডি, যেমন প্যান কার্ড বা আধার, ড্রাইভার্স লাইসেন্স ইত্যাদি জমা দিতে হবে। একবার ইন্স্যুরেন্স প্রদানকারী সমস্ত নথি যাচাই করে নিলে, পলিসিতে নাম নতুন মালিকের নামে পরিবর্তন করা হবে।
- ট্রান্সফারের সময় বাইকের মালিককে থার্ড-পার্টি ইন্স্যুরেন্স জমা দিতে হবে কারণ বাইকের ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম গণনা করা অত্যাবশ্যক।
- বাইকের মালিক তার নতুন গাড়ির জন্য ইন্স্যুরেন্স কেনার সময় এনসিবি সার্টিফিকেট জমা দিলে বর্তমান বাইক থেকে প্রিমিয়ামের পরিমাণে ছাড়ের ভিত্তিতে নো-ক্লেম বোনাসের সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।
আপনার ব্যবহৃত বাইকের জন্য নতুন ইন্স্যুরেন্স পলিসি কিনুন
আপনার সেকেন্ড হ্যান্ড বাইকের যদি বাইক ইন্স্যুরেন্স না থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি ইন্স্যুরেন্স করে নিতে হবে, কারণ এটি আইনত বাধ্যতামূলক। একটি সেকেন্ড হ্যান্ড বাইকের জন্য সবচেয়ে পছন্দের পলিসি হল একটি কম্প্রিহেন্সিভ ইন্স্যুরেন্স পলিসি যা আপনাকে কাস্টমাইজ-করা অ্যাড-অনগুলির সাথে আপনার সুবিধার জন্য সর্বাধিক কভারেজ দিতে পারে। আপনি অনলাইনে আপনার বাইকের জন্য ইন্স্যুরেন্স পেতে পারেন অথবা সমস্ত প্রাসঙ্গিক নথিপত্র-সহ ব্যক্তিগতভাবে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যান এবং যে-পলিসি আপনার বাইকের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত, তা বেছে নিন।
ব্যবহৃত বাইকের জন্য পলিসির প্রকারভেদ
থার্ড পার্টি - নাম দেখেই বোঝা যায়, থার্ড-পার্টি ইন্স্যুরেন্স থার্ড পার্টির ক্ষয়-ক্ষতি এবং মালিকের ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা কভার করে।
কী-কী কভার করা হয়?
- থার্ড পার্টির আঘাত বা মৃত্যু
- অন্যের সম্পত্তি বা গাড়ির ক্ষয়-ক্ষতি
- মালিক-চালকের জন্য সীমাহীন পার্সোনাল ড্যামেজ কভারের বিকল্প, যদি এটি আপনার কাছে ইতিমধ্যেই না থাকে।
কী-কী কভার করা হয় না?
- যন্ত্রাংশের ডেপ্রিসিয়েশন, ব্রেকডাউন সহায়তা ইত্যাদির মতো অ্যাড-অন।
- দুর্ঘটনা, চুরি, আগুন ইত্যাদির কারণে নিজস্ব গাড়ির ক্ষয়-ক্ষতি।
আমরা বেশিরভাগ গ্রাহকদের একটি কম্প্রিহেন্সিভ বা স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ পলিসির সুপারিশ করি। কিন্তু, আপনার বাইকটি আপনি যদি খুব কম চালান বা এটি ইতিমধ্যেই অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে, তবে শুধুমাত্র থার্ড পার্টি লায়াবিলিটি অনলি পলিসি নিতে পারেন।
কম্প্রিহেন্সিভ পলিসি - এই পলিসিটি থার্ড পার্টির ক্ষয়-ক্ষতি, আপনার বাইকের দুর্ঘটনার কারণে ক্ষয়-ক্ষতি এবং মালিকের ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা কভার করে। এটি একটি কম্প্রিহেন্সিভ বা স্ট্যান্ডার্ড টু-হুইলার ইন্স্যুরেন্স পলিসি যা আপনার বাইক এবং অবশ্যই আপনার পকেটকে সর্বোচ্চ আর্থিক নিরাপত্তা দিতে পারে।
কী-কী কভার করা হয়?
- থার্ড পার্টি ইন্স্যুরেন্সের সমস্ত সুযোগ সুবিধা যেমন থার্ড পার্টির সম্পত্তি বা গাড়ির ক্ষয়-ক্ষতি এবং থার্ড পার্টির ব্যক্তিগত ক্ষয়-ক্ষতি যেমন হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যু বা অক্ষমতা।
- এছাড়াও, দুর্ঘটনা, আগুন, চুরির কারণে নিজের গাড়ির ক্ষয়-ক্ষতি
- মালিক-চালকের জন্য সীমাহীন পার্সোনাল ড্যামেজ কভারের বিকল্প, যদি আপনার কাছে ইতিমধ্যেই না থাকে।
ব্যবহৃত বাইক ইন্স্যুরেন্সের সাথে উপলব্ধ অ্যাড-অন কভার
আপনার সেকেন্ড-হ্যান্ড বাইকের সম্পূর্ণ সুরক্ষার জন্য আমরা আপনাকে সঠিক অ্যাড-অন দিই। সর্বাধিক সুবিধা পেতে আপনার পলিসির সাথে সেরা বাইক ইন্স্যুরেন্স অ্যাড অন গুলি বেছে নিন।
- পার্টস ডেপ্রিশিয়েশন কভার (জিরো ডেপ/বাম্পার টু বাম্পার কভার) – সময়ের সাথে সাথে, আপনার বাইকের মূল্য কমে যাবে, যার কারণে এটির মূল্যহ্রাসও চার্জ করা হবে এবং ক্লেম করার সময় বিবেচনা করা হবে। তবে, একটি জিরো ডেপ্রিশিয়েশন কভার মূল্যহ্রাসের সম্ভাবনা বাতিল করে দেয় এবং একটি ডিজিট অনুমোদিত ওয়ার্কশপে ক্লেম করার সময় আপনাকে মেরামত বা রিপ্লেসমেন্টের সম্পূর্ণ খরচ দেয়।
- কনজিউমেবল কভার - এই অ্যাড-অনে স্ক্রু, ইঞ্জিন অয়েল, নাট এবং বোল্ট, গ্রিজের মতো যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপনের খরচ কভার করা হয়।
- ইঞ্জিন ও গিয়ার বক্স সুরক্ষা কভার - কোনও দুর্ঘটনায় ইঞ্জিনের ক্ষতি হলে, এটি একটি স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ পলিসির অধীনে কভার করা হয়। কিন্তু যদি এটি অনুবর্তী ক্ষতি হয়, তবে তা কভার করা হয় না। এখানে, এই অ্যাড-অনটি আপনার কাজে আসে, এমনকি দুর্ঘটনা না ঘটলেও এটি মেরামতের চার্জ কভার করে।
- রিটার্ন টু ইনভয়েস কভার - যদি আপনার বাইক চুরি হয়ে যায় বা মেরামত না করার পর্যায়ের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা, এর মেরামতের খরচ এর আইডিভি-র আনুমানিক 75%-এর বেশি হয়, তাহলে আমরা একই ধরনের নতুন বাইক কেনার খরচ কভার করি অর্থাৎ আপনি এক্স-শোরুম মূল্য পাবেন বা শেষ ইনভয়েসের মূল্য থেকে আইডিভি (ইনশিওর্ড ডিক্লেয়ার্ড ভ্যালু) বিয়োগ করে পাবেন। আর হ্যাঁ, আমরা তখন নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি এবং রোড ট্যাক্সের জন্যও কভার করব।
- ব্রেকডাউন সহায়তা (আরএসএ - RSA) - রাস্তায় কোনও ব্রেকডাউন হলে 24*7 সহায়তা পান এবং শহরের কেন্দ্র থেকে 500 কিলোমিটার পর্যন্ত সাহায্য পান।
আপনার আরও কোনও প্রশ্ন থাকলে, আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারলে খুবই আনন্দিত হব!