এশিয়ায় ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে আন্ডাররেটেড জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম হলো মালয়েশিয়া। দ্বীপের সাধারণ জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে বন্য রেইনফরেস্ট এবং জঙ্গল থেকে বিস্ময়কর স্কাইস্ক্র্যাপার (কুয়ালালামপুরে বিশ্বের অন্যতম একটি সহ!) পর্যন্ত সমস্ত কিছু থাকা এই সারা বর্ষব্যাপী উষ্ণ দেশটি সবধরনের ভ্রমণকারীদের কাছে একটি আনন্দদায়ক সফর হবে।
হ্যাঁ, ভারতীয় নাগরিকদের মালয়েশিয়ার জন্য ভিসা দরকার। তবে চিন্তা করবেন না, অন্যান্য দেশের তুলনায়, ভারতীয় পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সহজ।
হ্যাঁ, তবে কেবলমাত্র সংযুক্ত দেশ যেমন থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর অথবা ইন্দোনেশিয়ার মাধ্যমে আছে। ভারতীয় নাগরিকরা সরাসরি মালয়েশিয়ায় গিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসা চাইতে পারবেন না। ভারতীয় নাগরিকরা থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর অথবা ইন্দোনেশিয়ার মতো তিনটি-দেশের যেকোনো একটি হয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করলেই, তাঁরা ভিসা অন অ্যারাইভালের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। আপনি যদি এই সমস্ত অন্যান্য দেশগুলিতেও ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে এটি যথার্থ, আর যদি সেটি না হয়– তাহলে সরাসরি একটি মালয়েশিয়ার ট্যুরিস্ট ভিসা বেছে নেওয়াই সম্ভবত ভালো হবে।
থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর অথবা ইন্দোনেশিয়ার জন্য একটি ভ্যালিড ট্যুরিস্ট ভিসা। (আপনি যদি এই দেশগুলিতেও ভ্রমণ করেন)
ভারতে একটি ভ্যালিড রিটার্ন টিকিট
3টি রিসেন্ট পাসপোর্ট সাইজ ফোটো
মালয়েশিয়াতে থাকার সময় আপনার ভরণপোষণের প্রমাণ হিসাবে দেখানোর জন্য সর্বনিম্ন $1000
আপনি যদি বিজনেস পারপাস এ ভ্রমণ করেন তাহলে একটি কভার লেটার।
যদি একজন নাবালক অ্যাপ্লাই করে, তাহলে তার অভিভাবকদের একটি এনওসি (NOC) এবং তাদের পাসপোর্টের কপিও জমা দিতে হবে।
একটি ই-ভিসা (eVISA) হল এমন একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্ম, যেটি আপনাকে আপনার সুবিধামতো মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করার জন্য একটি ইলেকট্রনিক ভিসার জন্য অ্যাপ্লাই করার জন্য সক্ষম করে তোলে। মালয়েশিয়ার ই-ভিসা (eVISA) টি পর্যটন, বন্ধু বা আত্মীয়দের সাথে দেখা করার জন্য ক্যাজুয়াল ভিজিট, স্বল্প সময়ের চিকিৎসা অথবা ক্যাজুয়াল বিজনেস ভিজিটের মতো উদ্দেশ্যে জারি করা হয়।. পর্যটকদের জন্য তিন ধরনের মালয়েশিয়া ই-ভিসা (eVISA) (মালয়েশিয়া ই-ভিসা) রয়েছে, যেমন মালয়েশিয়ার ইএনটিআরআই (eNTRI) ভিসা, 30 দিনের এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসা এবং 30 দিনের মাল্টিপল এন্ট্রি ই-ভিসা (eVISA)।
অনলাইনে জমা দেওয়া আবেদনের জন্য ইউএসডি (USD) 24.80 আরএম (RM) 105 প্রসেসিং ফি, নাগরিকত্ব অনুযায়ী একটি ভিসা ফি এবং এটি ই-কম/মাস্টারকার্ড (e-comm/mastercard) এর মাধ্যমে প্রদান করা হলে মোট অ্যামাউন্টের 0.8% কনভেনিয়েন্স ফি এবং ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে প্রদান করা হলে 1.7% প্রয়োজন হবে।
2016 সালের মার্চ মাসে, মালয়েশিয়া সরকার মালয়েশিয়া ঘুরে দেখতে ইচ্ছুক ভ্রমণকারীদের জন্য ই-ভিসা (eVISA) চালু করেছিল। ভ্রমণকারীদের এটির জন্য একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। এই ফর্মটি একবার সঠিকভাবে পূরণ করা এবং পেমেন্ট এর সাথে জমা দেওয়া হলেই, ভ্রমণকারীরা ই-মেলের মাধ্যমে তাঁদের ইলেকট্রনিক ভিসা পেয়ে যাবেন। ই-ভিসার (eVISA) এই সুবিধাটি চিন, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মায়ানমার, বাংলাদেশ, ভুটান, সার্বিয়া অ্যাণ্ড মন্টিনিগ্রোর নাগরিকদের জন্য অ্যাভেলেবল আছে।
একটি ই-ভিসার (eVISA) আবেদন করার জন্য, অনুগ্রহ করে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন:
মালয়েশিয়া ই-ভিসা/ইএনটিআরআই (eVISA/eNTRI) প্রায় 2 কার্যদিবস সময় নেয়। আপনি যেদিন আপনার ভিসার জন্য অ্যাপ্লাই করবেন, সেই দিন থেকে 2-দিনের প্রসেসিং টাইম ক্যালকুলেট করা হয়।
আপনি যখন একটি বিদেশী জায়গায় ভ্রমণ করেন, তখন অনেক কিছু ভুল হতে পারে। ফ্লাইটের দেরি হওয়া এবং লাগেজ হারানো থেকে শুরু করে মেডিকেল ইমার্জেন্সি এবং আর্থিক ক্ষতি হওয়া পর্যন্ত; এই ধরনের পরিস্থিতিগুলির ক্ষেত্রে, একটি ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স থাকলে সেটি শুধুমাত্র আপনাকে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য দেবে তাই নয়- বরং পুরো অভিজ্ঞতাটিকে আপনার পক্ষে অনেকটা কম কঠিন করে তুলবে। মালয়েশিয়ার জন্য একটি ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স থাকলে আপনি সম্মুখীন হতে পারেন এরকম যেকোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সেটি আপনাকে সিকিওর্ড রাখবে, এমনকি সেইসব পরিস্থিতি সহ, যেসব ক্ষেত্রে আপনি আপনার বাড়ি থেকে অনেক দূরে একটি অজানা দেশে থাকার কারণে দুর্বল বোধ করতে পারেন।
মালয়েশিয়ার জন্য একটি ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স আপনাকে এই ধরনের সমস্ত পরিস্থিতির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে পারে: