আপনি বিদেশে আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে ফেললে কী করবেন?
ব্যবসার জন্য বা পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে বিদেশ ভ্রমণের সময় পাসপোর্ট হারানো নিঃসন্দেহে ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে।
সুতরাং, যদি আপনি বিদেশে আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেন, তাহলে আপনার আবাসিক দেশে নিরাপদে ফিরে আসার সমাধান খুঁজে বের করার জন্য এই আর্টিকলটি পড়ুন।
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কী করতে হবে?
যদি আপনি বিদেশে ভ্রমণের সময় আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেন তাহলে নিম্নলিখিত পাঁচটি জিনিস করতে পারেন:
1. আপনার নিকটতম পুলিশ স্টেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করুন
পাসপোর্ট চুরি হয়ে গেলে অথবা হারিয়ে গেলে সবচেয়ে কাছের পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করতে ভুলবেন না। পুলিশ রিপোর্টের একটি কপি সংগ্রহ করুন কারণ এটি পাসপোর্ট হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তথ্য প্রমাণ হিসাবে কাজ করে। একটি ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেট অথবা নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সময় এটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় নথি।
2. আপনার দেশের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করুন
আপনার পাসপোর্ট হারানোর রিপোর্ট করার জন্য আপনার দেশের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করুন। বিদেশে অবস্থিত দূতাবাসগুলি নাগরিকদের জাতীয়তা যাচাই করার পরে নিরাপদে তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য একটি ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেট ইস্যু করে সহায়তা করে।
3. ভিসা পুনরায় ইস্যু করার জন্য আবেদন করুন
যদি আপনি আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলে থাকেন, তাহলে আপনাকে হারিয়ে যাওয়া ভিসার জন্যও আবেদন করতে হবে। আপনার দেশের দূতাবাসে যান এবং একটি নতুন ভিসা পাওয়ার জন্য পুরনো ভিসার ফটোকপি ও পুলিশ রিপোর্টের মতো প্রাসঙ্গিক নথি জমা করুন।
4. আপনার ফ্লাইট রিশিডিউল করুন
নিজের পাসপোর্ট হারিয়ে ফেললে আপনার দেশে ফিরে আসা সম্ভব নয়, এবং একটি নতুন পাসপোর্ট বা ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য আপনার আবেদন প্রসেস করতে সময় লাগবে। তাই, আপনার পরিস্থিতি সম্পর্কে এয়ারলাইনকে জানিয়ে রাখা এবং সেই অনুযায়ী ফ্লাইট পুনরায় শিডিউল করা আদর্শ। আপনি যত তাড়াতাড়ি এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ করবেন, তত আপনার ফ্লাইট রিশিডিউল করার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করার সম্ভাবনা কম হবে।
5. একটি নতুন পাসপোর্ট/ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করুন
আপনার আবাসিক দেশের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করার পরে, আপনার প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে একটি নতুন পাসপোর্ট বা ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করুন। প্রথম বিকল্পটির ক্ষেত্রে, নতুন পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আপনাকে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। তবে, আপনি যদি এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে না পারেন এবং গুরুতর অসুস্থতা অথবা পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যুর মতো আপৎকালীন অবস্থার ক্ষেত্রে অবিলম্বে দেশে ফিরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করুন (যা পরে আলোচনা করা হয়েছে)।
আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কী-কী করতে হবে তা জেনে নেওয়ার পরে, নতুন পাসপোর্ট এবং ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে, তা জানতে পড়তে থাকুন।
অনলাইনে নতুন পাসপোর্ট পুনরায় ইস্যু করার জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?
আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে ডুপ্লিকেট পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় না। অতএব, নীচে উল্লিখিত সহজ ধাপগুলি অনুসরণ করে একটি নতুন পাসপোর্ট পুনরায় ইস্যু করার জন্য আবেদন করুন:
ধাপ 1: পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের অফিশিয়াল পোর্টালে যান। পাসপোর্ট অফিস, নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদির প্রাসঙ্গিক বিবরণগুলি লিখে পাসপোর্ট সেবার অনলাইন পোর্টালে নিজেকে রেজিস্টার করুন। যদি আপনি একজন বিদ্যমান সদস্য হন, তাহলে আপনার লগইন আইডি দিয়ে সাইন ইন করার জন্য "এক্সিস্টিং ইউজার লগইন"-এ ক্লিক করুন।
ধাপ 2: "নতুন পাসপোর্ট/পাসপোর্ট পুনরায় ইস্যু করার জন্য অ্যাপ্লাই করুন" বিকল্পটি বাছুন এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য যেমন আপনার নাম, যোগাযোগের বিবরণ ইত্যাদি লিখুন ও জমা দিন।
ধাপ 3: আপনার সবচেয়ে কাছের পাসপোর্ট অফিসে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লট বুক করার জন্য "সেভ করা/জমা দেওয়া অ্যাপ্লিকেশনগুলি" বিকল্পের মধ্যে উপলব্ধ "পে অ্যান্ড শিডিউল অ্যাপয়েন্টমেন্ট" লিঙ্কটি বাছুন।
ধাপ 4: নিম্নলিখিত পেমেন্ট মোডগুলি ব্যবহার করে অনলাইন পেমেন্ট করার জন্য এগিয়ে যান -
ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং (স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সহযোগী ব্যাঙ্কগুলি বা অন্য কোনও ব্যাঙ্ক)
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড (মাস্টারকার্ড অথবা ভিসা)
এসবিআই-এর ব্যাঙ্ক চালান
দ্রষ্টব্য: আপনার সবচেয়ে কাছের পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র অথবা পাসপোর্ট অফিস কিংবা পোস্ট অফিস পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে অ্যাপয়েন্টমেন্ট শিডিউল করার জন্য অনলাইন পেমেন্ট করা বাধ্যতামূলক।
ধাপ 5: আবেদনের রসিদ প্রিন্ট করার জন্য "প্রিন্ট অ্যাপ্লিকেশন রিসিট" লিঙ্কটি বেছে নিন এবং পাসপোর্ট হারানোর পরে আবেদন করার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করুন।
এই রসিদে অ্যাপ্লিকেশন রেফারেন্স নম্বর রয়েছে। পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার সময় এই রসিদ নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। একটি এসএমএসের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্টের বিশদ বিবরণ আপনার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে এবং এটি নির্ধারিত তারিখে অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রমাণ হিসাবে দাখিল করার পক্ষে যথেষ্ট।
নতুন পাসপোর্ট অফলাইনে পুনরায় ইস্যু করার জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?
অফলাইনে একটি নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে, অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে উপলব্ধ "ডাউনলোড ই-ফর্ম ট্যাব"-এর অধীনে পাসপোর্ট পুনরায় অফলাইনে ইস্যু করার জন্য আবেদন করার ই-ফর্মটি ডাউনলোড করুন। "নতুন বা পাসপোর্ট রি-ইস্যু"-র অধীনে লিঙ্কে ক্লিক করুন এবং অফলাইনে প্রাসঙ্গিক বিবরণ যেমন আবেদনের ধরন, আবেদনকারীর নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি লিখুন। যথাযথভাবে পূরণ করা এই ফর্মটি অনলাইনে আপলোড করুন। পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র বা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ফর্মের প্রিন্ট-করা কপি গ্রহণ করবে না।
একটি নতুন পাসপোর্ট পুনরায় ইস্যু করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিগুলি কী-কী?
আবেদনের ধরন, আবেদনকারীর বিভাগ, কর্মসংস্থানের ধরন এবং অন্যান্য মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে, আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে আরেকটি পাসপোর্ট পুনরায় ইস্যু করার জন্য নিম্নলিখিত নথিগুলি জমা দিন:
জন্ম তারিখের প্রমাণ যেমন জন্মের সার্টিফিকেট, আধার কার্ড ইত্যাদি।
অ্যানেক্সার এফ অনুসারে পাসপোর্ট কীভাবে হারিয়ে গেল সেটি উল্লেখ করা অ্যাফিডেভিট
আসল পুলিশ রিপোর্ট
বর্তমান আবাসিক ঠিকানার নথির প্রমাণ হিসেবে ইউটিলিটি বিল যেমন জলের বিল, টেলিফোন বিল, আধার কার্ড ইত্যাদি।
পুরনো পাসপোর্টের নন-ইসিআর/ইসিআর পেজ-সহ প্রথম এবং শেষ দুই পৃষ্ঠার স্ব-প্রত্যয়িত কপি
অ্যানেক্সার জি অনুযায়ী নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অথবা অ্যানেক্সার এইচ অনুযায়ী প্রায়র ইন্টিমেশন লেটার বা পূর্ববর্তী সূচনাপত্র।
আবেদনকারীদের নন-ইসিআর বিভাগের জন্য তথ্যগত প্রমাণ যেমন জন্ম সার্টিফিকেট, উচ্চ শিক্ষাগত পাসের সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
পেনশন পেমেন্ট অর্ডার
অপ্রাপ্তবয়স্ক আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে, অভিভাবকরা তাদের পাসপোর্টের আসল এবং স্ব-প্রত্যয়িত ফটোকপি পিএসকে-তে নিয়ে আসতে পারেন। আবেদনকারী অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে বাবা-মায়েরা নথিগুলি প্রত্যয়িত করতে পারেন। এছাড়াও, তারা নিজেদের নামে ঠিকানার প্রমাণও জমা দিতে পারেন।
আবেদনকারীর দু'টি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি
দ্রষ্টব্য: আবেদনকারীদের অতি অবশ্যই পিএসকে-তে উপরে উল্লিখিত নথিগুলির আসল এবং স্ব-প্রত্যয়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। এছাড়াও, উপরে উল্লিখিত সমস্ত নথি পরিচায়ক। পাসপোর্ট অফিস পেজের অধীনে উপলব্ধ জুরিসডিকশনাল পাসপোর্ট অফিসের হোম পেজটি পরীক্ষা করে দেখুন যে আর কোনও অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা।
আগেই বলা হয়েছে, একটি নতুন সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে বেশ কিছুটা সময় লাগতে পারে এবং এর কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদেশে থাকতে হতে পারে যা সমস্যা আরও বাড়াতে পারে। এই ধরনের ক্ষেত্রে, আপনি একটি ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারেন। পরবর্তী বিভাগে ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেটের মূল বিষয়গুলি এবং এর আবেদন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পড়তে থাকুন!
ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেট কী?
ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেট হল একটি ওয়ান-ওয়ে ট্রাভেল ডকুমেন্ট যেটি আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে আপনাকে আবাসিক দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেয়। হাই কমিশন দ্বারা আপনার নাগরিকত্ব এবং অন্যান্য পরিচয়পত্র যাচাই করার পরে এটি জারি করা হয়।
নিম্নলিখিত পরিস্থিতিগুলিতে একটি ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়:
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা ভুল স্থানে রাখলে
পাসপোর্ট নষ্ট বা চুরি হয়ে গেলে
যেসব ব্যক্তিরা নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন
দীর্ঘ সময়ের জন্য একটি পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে
নির্বাসনের আদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি
একজন ব্যক্তি তার নিজের দূতাবাসে সশরীরে গিয়ে ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং এই সার্টিফিকেটটি পাওয়ার জন্য তাকে ব্যক্তিগত ইন্টারভিউ পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। এর বিকল্প হিসেবে, তারা ভারতীয় দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলিতে পাসপোর্ট সেবার অফিশিয়াল পোর্টালে গিয়ে এটি অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।
ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য অনলাইনে কীভাবে আবেদন করবেন?
পাসপোর্ট হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেটের আবেদন করার জন্য নীচে কয়েকটি সহজ ধাপ উল্লেখ করা হল:
ধাপ 1: ভারতীয় দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলিতে পাসপোর্ট সেবার অফিশিয়াল পোর্টালে যান। সেই দেশ নির্বাচন করুন যেখান থেকে আপনি পাসপোর্ট পরিষেবার জন্য আবেদন করতে চান।
এখন, "রেজিস্টার" লিঙ্কটি বেছে নিয়ে নিজেকে পোর্টালে রেজিস্টার করুন। দূতাবাস বা কনস্যুলেটের প্রাসঙ্গিক বিবরণ, আপনার নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি লিখুন। এর বিকল্প হিসেবে, যদি আপনি ইতিমধ্যেই রেজিস্টার করে থাকেন, তাহলে সেই ক্রেডেনশিয়ালের মাধ্যমে লগ ইন করুন।
ধাপ 2: হোম পেজে আপনার ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি নির্বাচন করুন। অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করুন এবং জমা দিন।
ধাপ 3: জমা দেওয়া অ্যাপ্লিকেশন ফর্মের একটি প্রিন্ট-আউট নিন এবং প্রাসঙ্গিক নথিপত্র সহ দূতাবাসে যান। আপনি যে-দেশে গিয়েছেন সেই দেশে উপলব্ধ অ্যাপ্লিকেশন সাবমিশন সেন্টার বা আবেদনপত্র জমা দেওয়ার কেন্দ্র অথবা দূতাবাসগুলির তালিকা দেখার জন্য, "এমব্যাসি/কনস্যুলেট সংযোগ" লিঙ্কটি বাছুন।
মনে রাখবেন, ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রসেসিং ফি প্রদান করতে হতে পারে। এছাড়াও, যেখানে আবেদন করতে হবে, সেই হিসেবে প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রে নথিপত্রের প্রয়োজনীয়তা আলাদা হয়। তাই এই সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে ভারতীয় কনস্যুলেটের কাছে যাওয়ার আগে অফিশিয়াল পোর্টালটি দেখুন।
পাসপোর্ট হারানো একটি অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এবং এটি ভ্রমণের সময় অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে। তবে, এইসব সমস্যা সহজেই এড়ানোর জন্য আপনি যদি এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, তাহলে উপরে উল্লিখিত এই বিষয়গুলি মনে রাখবেন।
প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্নগুলি
যদি একজন নিজের পাসপোর্টটি হারিয়ে ফেলেন, তাহলে কি পুরোনো পাসপোর্টের ফটোকপি প্রয়োজন?
হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে, অথবা ক্ষতিগ্রস্ত পাসপোর্টের ক্ষেত্রে পুরনো পাসপোর্টের ফটোকপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। আপনার কাছে যদি এটি থাকে, তাহলে তা জমা দিতে ভুলবেন না। তবে, নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সময় পাসপোর্ট নম্বর, ইস্যু করার তারিখ ও স্থান এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের মতো বিশদ বিবরণ প্রয়োজন। তবে যদি এটি উপলব্ধ না হয়, তাহলে আপনি যে দেশে ভ্রমণ করেছেন সেই দেশের সংশ্লিষ্ট ভারতীয় মিশনের সাথে যোগাযোগ করুন।
ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেটের বৈধতা কতদিন?
একটি ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেটের বৈধতা এক মাস, যার মধ্যে আপনাকে আপনার দেশে ফিরে যেতে হবে।
একটি নতুন পাসপোর্ট পুনরায় ইস্যু করার অনুরোধ প্রসেস করার জন্য কত সময় লাগে?
একটি নতুন পাসপোর্টের জন্য আপনার আবেদন প্রসেস করার জন্য প্রায় 15 দিন সময় লাগতে পারে। আপনি যদি তৎকাল মোডে আবেদন করেন, তাহলে প্রায় 7 থেকে 10 দিন সময় লাগতে পারে।