দ্বৈত নাগরিকত্ব কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?
দ্বৈত নাগরিকত্বের ব্যাপারে কখনও শুনেছেন কি? এই সুবিধাটি আপনাকে দু'টি দেশের নাগরিক হতে এবং একই সাথে সেই দেশ দু'টির নাগরিকত্বের অধিকার ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ দেয়।
তবে, প্রতিটি দেশ দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমতি দেয় না। বিভিন্ন দেশ অনুযায়ী এই নিয়মগুলি পরিবর্তিত হতে পারে।
কিন্তু, ভারতের ক্ষেত্রে কী নিয়ম?
ভারতে দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কিত নিয়মকানুন এবং এর পরিবর্তনশীলতার বিষয়ে জানার জন্য পড়তে থাকুন।
দ্বৈত নাগরিকত্ব কী?
দ্বৈত নাগরিকত্বের অর্থ হল একজন ব্যক্তির একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে। এটি এক ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট দেশের অধিকার এবং সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি দ্বৈত বা একাধিক নাগরিকত্ব নিয়ে উভয় দেশে কাজ করতে, পড়াশোনা করতে এবং বসবাস করতে পারেন।
এছাড়াও, আপনি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক নিরাপত্তা ইত্যাদির মতো মানসম্পন্ন সুযোগ-সুবিধাও পেয়ে থাকেন।
দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা ব্যক্তিরা একাধিক পাসপোর্ট রাখতে পারেন, যা তাদের স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করার সুযোগ দেয়। এছাড়াও, তাঁরা বেশিরভাগ দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।
যদি আপনি ভাবেন যে ভারতীয়দের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকতে পারে কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তর আমরা নীচে দিয়েছি।
ভারত কি দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমতি দেয়?
ভারতীয় সংবিধানে দ্বৈত বা একাধিক নাগরিকত্ব সংক্রান্ত কোনও বিধান নেই। এর পরিবর্তে, একজন ভারতীয় একটি পছন্দসই দেশের দ্বিতীয় পাসপোর্ট অর্জন করতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাঁরা ভারতীয় নাগরিকত্ব হারাতে বাধ্য।
1967 সালের পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী, প্রতিটি ভারতীয় বাসিন্দা অন্য দেশের নাগরিকত্ব অর্জনের পরে নিকটতম দূতাবাসে গিয়ে তাদের পাসপোর্ট সমর্পণ করতে বাধ্য।
বিদেশি নাগরিকত্ব পাওয়ার পর ভারতীয়দের ওভারসিজ সিটিজেনস অফ ইন্ডিয়া (ওসিআই) স্ট্যাটাস পেতে হবে।
দ্বৈত নাগরিকত্বের কিছু প্রয়োজনীয়তার মধ্যে রয়েছে -
অনুচ্ছেদ 5, 6 এবং 8 অনুসারে যেসব ব্যক্তিরা স্বেচ্ছায় অন্য একটি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব চান, তাঁদের ভারতীয় নাগরিক থাকা বন্ধ হয়ে যাবে।
তাঁরা বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাবেন যেখানে তিনি নাগরিকত্বের অনুরোধ করেছেন।
এই ব্যক্তিদের অতি অবশ্যই তাঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট এবং ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠার অন্যান্য নথিগুলি নিকটতম ভারতীয় দূতাবাসে সমর্পণ করতে হবে।
যদিও ভারতে দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনও বিধান নেই, তবুও ব্যক্তিরা একটি ওসিআই কার্ড নিতে পারেন। এটি একাধিক সুযোগ সুবিধা দেবে। তাদের মধ্যে কিছু সুযোগ-সুবিধা নীচে আলোচনা করা হয়েছে।
দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধাগুলি কী?
দ্বৈত নাগরিকত্ব বা ওসিআই থাকা ব্যক্তিরা বিভিন্ন সুবিধা উপভোগ করতে পারেন, যেমন -
ভারত এবং নির্বাচিত দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাস, কাজ, ব্যবসা ইত্যাদি চালিয়ে যাওয়ার স্বাধীনতা
আজীবন একাধিক প্রবেশাধিকার ভিসা
তাঁরা সম্পদ ও সম্পত্তির মালিক হতে পারেন।
রেজিস্টার্ড ওসিআই-কে ভারতের বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যান পরিদর্শনের জন্য স্বদেশি ভারতীয় দর্শকদের মতো একই প্রবেশমূল্য দিতে হবে।
সর্বভারতীয় প্রি-মেডিকেল টেস্ট বা অন্যান্য পরীক্ষার জন্য এনআরআই-দের সাথে সমতা। অতএব, তাঁরা প্রাসঙ্গিক আইনের বিধান অনুযায়ী ভর্তির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
একজন ব্যক্তির একাধিক পাসপোর্ট থাকতে পারে।
অন্য দেশের পাসপোর্ট নিজ দেশের চেয়ে শক্তিশালী হলে "ভিসা অন অ্যারাইভাল" পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
একটি দ্বিতীয় পাসপোর্ট থাকলে, এক দেশে কোনও অশান্ত পরিস্থিতি হলে, অন্য যে-দেশে তাঁদের নাগরিকত্ব আছে, তাঁরা সেখানে স্থানান্তরিত হতে পারেন।
কারা দ্বৈত নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য?
দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার আগে একজন ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠি দেখে নেওয়া উচিত। দেশ অনুযায়ী যোগ্যতার এই মাপকাঠিগুলি পরিবর্তিত হতে পারে।
ভারতীয় নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে, আবেদনকারীদের উল্লিখিত মাপকাঠিগুলি পূরণ করতে হবে।
একজন ব্যক্তি যিনি সাধারণভাবে কমপক্ষে সাত বছর ভারতে বসবাস করেছেন তিনি ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।
একজন ভারতীয় নাগরিককে বিয়ে করা ব্যক্তিরাও ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক যাঁর বাবা-মায়ের ভারতীয় নাগরিকত্ব রয়েছে, তিনি নিজেও ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন। তবে, তাঁদের কমপক্ষে এক বছর ভারতে বসবাস করতে হবে।
একজন নাবালক যার বাবা-মা দু'জনেই ভারতীয় নাগরিক অথবা তাঁদের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিক।
ওভারসিজ সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া বা ভারতের বিদেশী নাগরিক হিসাবে পাঁচ বছরের জন্য রেজিস্টার্ড থাকা কোনও ব্যক্তি।
যেসব বিদেশি নাগরিকরা 26.01.1950 তারিখে ভারতীয় বাসিন্দা হওয়ার যোগ্য ছিলেন অথবা 26.01.1950 তারিখে বা তার পরে যে-কোনও সময়ে ভারতের নাগরিক ছিলেন অথবা 15.08.1947 তারিখের পরে ভারতের অংশ হয়ে যাওয়া কোনও অঞ্চলের অন্তর্গত ছিলেন।
আপনি কীভাবে দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন?
দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন প্রক্রিয়াও বিভিন্ন দেশ অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব পেতে ফাইল করার জন্য একটি আবেদনপত্র উপলব্ধ রয়েছে।
মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে নিজের দেশের দূতাবাস অথবা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। সবার আগে, কোন দেশগুলি দ্বৈত নাগরিকত্ব দেয় তা খুঁজে বের করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবেদনে একটি সামান্য ভুলের কারণে আপনার অজান্তেই আপনি বসবাসকারী দেশের নাগরিকত্ব হারাতে পারেন।
তবে, আপনি যদি একটি ওসিআই কার্ড নেন, তাহলে আপনাকে একটি অনলাইন আবেদন করতে হবে এবং নথি জমা দিতে হবে।
ভারতে দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন, তা নিয়ে যদি ভাবেন, তবে তার পরিবর্তে কীভাবে ওসিআই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন তা এখানে বলা হয়েছে -
- অনলাইন ওসিআই পরিষেবাগুলির ওয়েবসাইটে যান এবং নিজেকে রেজিস্টার করুন।
- আবেদন করার আগে যোগ্যতা এবং নথিপত্রের প্রয়োজনীয়তা কী-কী তা পরীক্ষা করে নিন।
- ফর্ম পূরণ করা এবং জমা দেওয়ার জন্য "অ্যাপ্লাই অনলাইন"-এ ক্লিক করুন।
আইটিএআর নম্বর সহ পূরণ করা আবেদনটির দু'টি প্রিন্টআউট নিন। উদাহরণস্বরূপ, এই সংখ্যাটি এইরকম দেখায় - আইটিএআর00000511
ভারতে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি
ওসিআই কার্ডের জন্য আবেদন করার সময় ব্যক্তিদের অবশ্যই নিম্নলিখিত নথি জমা দিতে হবে -
- বর্তমান নাগরিকত্বের প্রমাণ
- আসল পাসপোর্ট সহ বাতিল হওয়া ভারতীয় পাসপোর্টের কপি। এই পাসপোর্টে অতি অবশ্যই একটি ড্রিল স্ট্যাম্প থাকতে হবে।
- বাবা-মা/ঠাকুরদা-ঠাকুমা হিসাবে সম্পর্কের প্রমাণ, যদি তাদের ভারতীয় বংশপরিচয়কে ওসিআই অনুমোদনের ভিত্তি হিসাবে দাবি করা হয়।
- আবাসিক প্রমাণ
- একজন আবেদনকারীর বর্তমান এবং পূর্ববর্তী কাজের প্রোফাইলের বিশদ বিবরণ
- পিআইও কার্ড হোল্ডারদেরকে নিজেদের কার্ডের একটি কপি জমা দিতে হবে
- জমা দেওয়া ফটোগুলিতে সাদা ছাড়া যে-কোনও হালকা রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে।
একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুর ক্ষেত্রে, এই বাধ্যতামূলক নথিগুলির প্রয়োজন:
- বাবা-মায়ের পাসপোর্টের কপি অথবা ডোমিসাইল সার্টিফিকেট অথবা নেটিভিটি সার্টিফিকেট।
- শিশুটির জন্মের সার্টিফিকেট
- বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে থাকলে, আদালতের বিবাহবিচ্ছেদের অর্ডার, সন্তানের হেফাজতে উল্লেখ করে যে-অভিভাবকের ওসিআই কার্ড রয়েছে তাঁকে দেওয়া হয়।
এখন চলুন সেই দেশগুলি দেখে নেওয়া যাক যেগুলি ঝামেলা-মুক্ত অ্যাপ্লিকেশনগুলির ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমতি দেয়।
কোন দেশগুলি দ্বৈত নাগরিকত্ব নীতি গ্রহণ করেছে?
দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমতি দেয় এমন কয়েকটি দেশ হল–
দেশের নাম | দেশের নাম | দেশের নাম |
আলবেনিয়া | গাম্বিয়া | প্যারাগুয়ে |
আলজেরিয়া | জার্মানি | পেরু |
আমেরিকান সামোয়া | ঘানা | ফিলিপিন্স |
অ্যাঙ্গোলা | গ্রিস | পোল্যান্ড |
অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা | গ্রেনাডা | পর্তুগাল |
আর্জেন্টিনা | গুয়াতেমালা | রোমানিয়া |
অস্ট্রেলিয়া | গিনি-বিসাউ | রাশিয়া |
আর্মেনিয়া | হাইতি | সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস |
বার্বাডোজ | হন্ডুরাস | সেন্ট লুসিয়া |
ব্রাজিল | হংকং | সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাডাইন্স |
বেলজিয়াম | হাঙ্গেরি | সামোয়া |
বেলিজ | আইসল্যান্ড | স্কটল্যান্ড |
বেনিন | ইরাক | সার্বিয়া |
বলিভিয়া | আয়ারল্যান্ড | সেশেলস |
বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা | ইজরায়েল | সিয়েরা লিওন |
বুলগেরিয়া | ইতালি | স্লোভেনিয়া |
বুর্কিনা ফাসো | জামাইকা | সোমালিয়া |
বুরুন্ডি | জর্ডন | দক্ষিণ আফ্রিকা |
কম্বোডিয়া | কেনিয়া | সুদান |
চেক প্রজাতন্ত্র | দক্ষিণ কোরিয়া | দক্ষিণ সুদান |
কানাডা | কসোভো | স্পেন |
কেপ ভার্দে | কিরগিজস্তান | শ্রীলঙ্কা |
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র | লাতভিয়া | সুইডেন |
চিলি | লেবানন | সুইৎজ়ারল্যান্ড |
কলম্বিয়া | লিথুয়ানিয়া | সিরিয়া |
কোমোরোস | লুক্সেমবার্গ | তাইওয়ান |
কঙ্গো প্রজাতন্ত্র | ম্যাকাও | তাজিকিস্তান |
কোস্টা রিকা | ম্যাসিডোনিয়া | থাইল্যান্ড |
আইভরি কোস্ট | মালি | তিব্বত |
ক্রোয়েশিয়া | মাল্টা | ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো |
সাইপ্রাস | মরিশাস | তিউনিশিয়া |
ডেনমার্ক | মেক্সিকো | তুরস্ক |
জিবুতি | মলডোভা | উগান্ডা |
ডমিনিকা | মরক্কো | গ্রেট ব্রিটেন |
ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র | নামিবিয়া | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
পূর্ব তিমর | নাউরু | উরুগুয়ে |
ইকুয়েডর | নিউজিল্যান্ড | ভ্যাটিকান সিটি |
মিশর | নিকারাগুয়া | ভেনেজ়ুয়েলা |
এল সালভাদর | নাইজার | ভিয়েতনাম |
ইকুয়েটরিয়াল গিনি | নাইজেরিয়া | ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ |
ফিজি | পাকিস্তান | ইয়েমেন |
ফিনল্যান্ড | পানামা | জাম্বিয়া |
ফ্রান্স | পাপুয়া নিউ গিনি | জ়িম্বাবোয়ে |
দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্নগুলি
দ্বৈত নাগরিকত্বের অসুবিধা কী?
দ্বৈত নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আপনাকে একটি দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং দ্বিগুণ কর দিতে হবে।
দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা ব্যক্তিদের কি উভয় দেশেই কর দিতে হবে?
হ্যাঁ, দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী ব্যক্তিরা যে-দেশে উপার্জন করেন সেখানে কর দিতে বাধ্য থাকেন। তবে, বেশ কিছু দেশ আছে যারা দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা ব্যক্তিদের সাহায্য করার জন্য নাগরিকের করের দায় দূর করে দেয়।
কোন দেশগুলি বংশের ভিত্তিতে দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমতি দেয়?
বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, হংকং, নেদারল্যান্ডস এবং দক্ষিণ কোরিয়া, এমন কিছু দেশ যেখানে বংশের ভিত্তিতে দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমতি দেওয়া হয়। সুতরাং, যদি এই দেশগুলিতে আপনার পূর্বপুরুষদের নাগরিকত্বের বৈধ কোনও প্রমাণ আপনার কাছে থাকে, তাহলে আপনি দ্বৈত নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন।